নিজস্ব প্রতিবেদক
ঈদুল আজহা ছুটিতে পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে কুমিল্লার বিনোদনকেন্দ্রগুলো। ঘুরতে আসা পর্যটকদের কারণে দীর্ঘদিন পর প্রাণ ফিরে পেয়েছে কুমিল্লা। নয়নাভিরাম সৌন্দর্য দেখে যেমন মুগ্ধ হচ্ছেন পর্যটকরা, তেমনি ব্যবসায়ীরাও দেখছেন আশার আলো। কুমিল্লার ময়নামতি ক্যান্টনম্যান্টে অবস্থিত কুমিল্লা সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে নির্মিত রূপসাগরে ভিড় সামলাতে কর্তৃপক্ষকে হিমশিম খেতে হয়েছে। এছাড়া ফানটাউন ও বালুতুপা পার্ক,ফ্যান্টাসি কিংডম, ডাইনোসর পার্ক, কমনওয়েলথ যুদ্ধ সমাধি (ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি), শালবন বিহার,ওয়াটার ব্লু পার্ক, ময়নামতি জাদুঘর, রূপবান মুড়া, ইটাখোলা,কুমিল্লা বার্ডের ভেতর নীলাচল পাহাড় কোটবাড়ির বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানগুলোতে পর্যটকের উপস্থিতি বেশি।
মনোমুগ্ধকর এ দৃশ্যগুলো স্মৃতি হিসেবে ধরে রাখতে কেউ কেউ প্রকৃতির সঙ্গে নিজেকে ক্যামেরাবন্দী করছেন। এক কথায় নগর জীবনের ব্যস্ততা ভুলে পর্যটকরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রকৃতির সৌন্দর্য্য উপভোগে। চট্টগ্রাম থেকে আসা মো. সোহেল বলেন, কুমিল্লার ময়নামতি ক্যান্টনমেন্টে অবস্থিত রূপসাগর খুব সুন্দর একটি জায়গা। এখানে এসে বড় দিঘি এবং টিলা সবারই মন কাড়বে। এখানে প্রাকৃতিক পরিবেশ অত্যন্ত সুন্দর। এসব দেখে যে কারোই ভাল লাগবে। কথা হয় শালবন বিহার ও জাদুঘরে এ ঘুরতে আসা স্কুলশিক্ষিকা মাহমুদা আহসানের সঙ্গে। তিনি জানান, কুমিল্লার দেবিদ্বার থেকে ঈদের ছুটিতে স্কুল বন্ধ থাকায় কুমিল্লার শালবন বিহার ও জাদুঘরে আত্মীয়স্বজন নিয়ে ঘুরতে এসেছি। এখানে মোঘল সাম্রাজ্যের সময় যে প্রাচীন স্থাপত্যের নিদর্শন আছে, তা সত্যি দেখার মতো। বাচ্চাদেরকে এসকল ইতিহাস সম্পর্কে বর্ননা দিয়েছি।
শালবন বিহার এলাকার ব্যবসায়ী মো. ইউনুস মিয়া বলেন, গতবছর ঈদে করোনার জন্য শালবন বিহার ও যাদুঘর বন্ধ ছিল। যার কারণে ব্যবসা হয় নাই। এ বছর ঈদের দিন থেকে আজ ঈদের পরের দিন বেচাকেনা ভাল হয়েছে। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে লোক আসছে।
পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়ে কুমিল্লা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বলেন ঈদের ছুটিতে আগত পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য আমাদের পুলিশের টহল টিম বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে টহল দিচ্ছে। পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে কোতয়ালি মডেল থানার নাম্বার লিখে দেওয়া হয়েছে।