কুমিল্লা ভুল চিকিৎসায় ২ মাস বয়সী শিশু হোসাইনের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় হলি কেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসক এম কাইয়ুমের বিরুদ্ধে এই অপচিকিৎসার অভিযোগ উঠেছে। রবিবার কুমিল্লা নগরীর হলি কেয়ার হাসপাতালের এনআইসিইউতে এ ঘটনা ঘটে। এ সংবাদ ক্যাভারেজ করতে সংবাদকর্মীদের উপর হামলা করে ডিবিসির ক্যামেরা ভেঙ্গে ফেলেন জানা গেছে এই হাসপাতালের পরিচালক ডা. মোরশেদুল আলম। এতে আহত ডিবিসির ক্যামেরা পার্সন বিল্পব কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
নিহত শিশু হোসাইন কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার গলিয়ারা দক্ষিণ ইউনিয়নের বাড়াইপুর গ্রামের সোলেমান। সংবাদকর্মীদের উপর অতর্কিত হামলার কারনে হাসপাতালের পরিচালক ডা. মোরশেদের উপযুক্ত শাস্তি দাবি জানান সাংবাদিক মহল।
জানা যায়, গত ১৪ দিন আগে জ্বর-কাসির সমস্যা নিয়ে হলি কেয়ার হাসপাতালের নিয়ে আসেন বাচ্চার বাবা সোলেমান। পরে ওই শিশুকে ডা: এম এ কাইয়ুম চিকিৎসা দেন। সেখানে তার দেয়া চিকিৎসাপত্র অনুযায়ী ওষুধ প্রয়োগ করেন হলি কেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসকরা। একপর্যায়ে ওই শিশুর নিমনিয়া হয়েছে বলে ১০ দিন ধরে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে স্বজনরা বাচ্চা কেমন আছে জানতে চাইলে ডাক্তার কাইয়ুম বলে রুগী আগের চেয়ে ভালো আছে। পরে হঠাৎ ১৩ দিনের মাথায় বলে বাচ্চার অবস্থা করুন ঢাকায় নিতে হবে পরে আরেক ডাক্তার শিমুল বাচ্চাকে একটি ইকো করতে বললে দ্রুত কে আলী শিশু হসপিটালে ইকো করে আনলে ডাক্তার শিমুল বলেন শিশুরতো হার্টে সমস্যা আপনারা এত দিন নিমুনিয়ার চিকিৎসা কেন করেছেন পরে ডাক্তার বলেছে দ্রুত ঢাকায় নিন। পরে স্বজনরা ঢাকায় একটি হসপিটাল দেখে বাচ্চাকে নিয়ে যাবে এমন সময় রুগী মারা গেছে বলে ডাক্তার জানান।
নিহতের বাবা সোলেমান বলেন, ডা. কাইয়ুম আমার বাচ্চাকে ভূল চিকিৎসায় মেরে ফেলছে। গত ১৪ দিন আগে আমার বাচ্চার নিমুনিয়া হয়েছে বলে এনআইসিইউতে ভর্তি করি। অথচ ১৩ দিনের মাথায় আরেক ডাক্তার শিমুল জানতে পারলেন যে বাচ্চার নিমুনিয়া হয় নাই, বাচ্চার হার্টে সমস্যা। পরে দ্রুত ঢাকায় নেব এমন সময় আরেক ডাক্তার বলছে তোমার বাচ্চা মারা গেছে। চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ভূল চিকিৎসা করেছে জানিয়ে বিচার দাবি করেন তিনি।
অভিযুক্ত চিকিৎসক কাইয়ুমকে খুঁজে না পাওয়ায় বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
আহত ডিবিসির ক্যামেরা পার্সন বিপ্লব জানান, আমি সংবাদ ক্যাভার করতে গেলেই আমার ক্যামেরা ভেঙে ফেলে ও আমাকে মারধর করে ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়। আমি এর বিচার চাই।
হাসপাতালের পরিচালক ডা. মোরশেদুল আলম জানান, আমি সাংবাদিকককে নিচে আমার সাথে দেখা করতে বলেছি। তারা কেন দেখা করেনি তাই আমি ক্ষুব্ধ হয়েছি। রুগীর অভিযোগ থাকলে থানায় অভিযোগ করতে বলেন।
কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সভাপতি লুৎফুর রহমান বলেন, এমন হামলার প্রতিবাদে আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
এ বিষয়ে কুমিল্লা সিভিল সার্জন ডাঃ নাছিমা আক্তার বলেন, হলি কেয়ার হাসপাতালের বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে দেখব।
এ বিষয়ে কুমিল্লা টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন কুমিল্লার সভাপতি হুমায়ূন কবির রনি, সাধারন সম্পাদক সেলিম রেজা মুন্সি ও সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসাইন আকাইদসহ নেতৃবৃন্দ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।