শৈত্যপ্রবাহ ও তীব্র শীতে কুমিল্লা জুড়ে বিভিন্ন উপজেলার অসহায় গরীব ও ছিন্নমূল মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। এর প্রভাব পড়ছে মানুষের দৈনিন্দন কাজকর্ম ও অর্থনৈতিক জীবনে। গত ৬/৭ দিন যাবত কোথাও সূর্যের দেখা মিলছেনা। ফলে রাত দিনের শীতের তীব্রতার পার্থক্য বেশি হচ্ছেনা। ব্রাহ্মণপাড়ায় কুয়াশা কম থাকলেও উত্তরের হিমেল বাতাস শীতের তীব্রতাকে আরও বাড়িয়ে তুলছে। এতে ছিন্নমূল, হতদরিদ্র ও শ্রমজীবি মানুষ পড়ছে বিপাকে। সরেজমিনে ঘুরে কথা হয় সদর দক্ষিণ চর্থা ইজিবাইক চালক জসিম মিয়ার সাথে, তিনি বলেন জীবিকার প্রয়োজনে গাড়ি নিয়ে বাহির হইছি।রাস্তায় তেমন কোন যাত্রী নাই। এখনো পর্যন্ত মালিকের জমার টাকা উঠাইতে পারিনাই এর পরে আমার লাভ।
সদর দক্ষিণ উপজেলার মিয়া বাজার গ্রামের কৃষক আবুল মিয়া বলেন,ঠান্ডার কারণে বোর ফসলের জন্য খেত প্রস্তুত করার কথা থাকলেও ঠান্ডার কারণে কাজ করতে না পারায় তা ব্যাহত হচ্ছে। ঠান্ডা উপেক্ষা করে মাঠে কাজ শুরু করলও বেশিক্ষণ খেতে থাকা যাচ্ছে না। কনকনে ঠান্ডায় হাত-পা ও শরীর অবশ হয়ে আসছে। এছাড়া বোর মৌসুমে ক্ষেত কামারে অবস্থান নেওয়া ছিন্নমূল মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে দেখা যায়। ফুটপাত আর পুরাতন কাপড়ের দোকানে উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। শীত বাড়তে থাকায় দিন মজুররা কাজ করতে না পারায় ভোগান্তিতে পড়েছে। ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠান্ডায় প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া মানুষ বের হচ্ছে না। শৈত্যপ্রবাহে এ অঞ্চলের শিশুসহ সকল বয়সী মানুষদের শীতজনিত রোগ বালাই দেখা দিয়েছে।