নেকবর হোসেন
কুমিল্লা প্রতিনিধি
কুমিল্লায় ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড, কুমিল্লার উদ্যোগে বিভিন্ন অনুষ্ঠানসূচি পালন করা হয়। ভোরে সূর্য্য উদয়ের সাথে সাথে বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো: আবদুস ছালাম জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানসূচির সূচনা করেন। সকল কর্র্মকর্তা কর্মচারী বোর্ড আঙ্গিনা থেকে র্যালি সহকারে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে গিয়ে সেখানে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সকাল১০টায় বোর্ড প্রাঙ্গনে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এ সময় তিনি উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন- বাঙ্গালির ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন অবিসংবাদিত নেতা। তাঁর ডাকে একটি সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্যদিয়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করি। তিনি পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে বাঙ্গালি জাতিকে মুক্ত করে একটি স্বাধীন ভূখন্ড উপহার দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর জয়বাংলার মূলমন্ত্র সেদিন মুক্তিকামি বাঙ্গালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা একই সুতোয় গাঁথা। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে তাঁর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলেছে। তাঁর নেতৃত্বে দেশ আজ ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিনত হয়েছে। মানুষ এখন ঘরে বসেই রাষ্ট্রীয় সেবা পাচ্ছে। উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত রাখতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে একনিষ্ঠ ভাবে কাজ করে যেতে হবে। এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন বোর্ডের সচিব প্রফেসর নূর মোহাম্মদ,তিনি বলেন- ঐতিহাসিক ৭ মার্চ অনেকেরই আশঙ্কা ছিল, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা কিংবা গ্রেপ্তার করা হতে পারে। এ আশঙ্কা হয়তো বঙ্গবন্ধুরও ছিল। তাই তিনি আগাম সতর্কতা হিসেবে বলেন,আমি যদি হুকুম দেবার নাও পারি তোমরা রাস্তাঘাট সবকিছু বন্ধ করে দেবে।’ অর্থাৎ বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে বাঙালি যেন শত্রু পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে কোনোভাবেই নমনীয়তা প্রদর্শন না করে। জয় ছাড়া আর কিছু নয়–এটাই ছিলো ৭ মার্চের ভাষণের প্রধান সুর। মার্চের ২০২২ উদযাপন কমিটির আহবায়ক প্রফেসর মোঃ জহিরুল ইসলাম পাটোয়ারী। বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক প্রফেসর মোঃ আজহারুল ইসলাম,কর্মচারী সমিতির সভাপতি মো: আবদুল খালেকসহ বোর্ডের সকলস্তরের কর্মকর্তা,কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। বাদ জোহর বোর্ড জামে মসজিদে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারসহ সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয় এবং দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।