কুরবানির ঈদ এলেই টুংটাং শব্দে মুখরিত হয়ে ওঠে দেবীদ্বার পুরাতন বাজার পুকুর পাড়সহ উপজেলার কামারপট্রিগুলোতে। সারা বছর তেমন কাজ না থাকলেও কুরবানির ঈদ কে সামনে রেখে দম ফেলানোর ফুসরত থাকছেনা তাদের। দিন- রাত কুরবানির পশু জবাই ও কাটার বিভিন্ন সামগ্রী তৈরিতে হাডুড়ি পেটা ও সান দিতেই দেখা যায়। খাওয়া- দাওয়া ভূলে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করছেন তারা। কেউ ভারী হাতুড়ি দিয়ে পেটাচ্ছেন আগুনরাঙা লোহার টুকরো, কেউবা দিচ্ছেন ছুরিতে শান। শুক্রবার সরেজমিন ঘুরে দেখা যায় উপজেলার দেবীদ্বার পুরাতন বাজারের ৭টিন কামারপট্রিতে কর্মকাররা ব্যস্ত সময় পাড় করছে। এছাড়াও পৌরসভার পশ্চিম ফতেহাবাদে রয়েছে ৭ টি, ওয়াহেদপুর গ্রামের কর্মকার মো. খোরশেদ আলমের ১ টি, বারেরা বিল্লাল হোসেন ও গৌরাঙ্গ কর্মকারের ১ টি, পোনরা মারকাজন কর্মকারের ১ টি, গুনাইঘর আবু কাশেম ও মানিক কর্মকারের ১ টি । এ কামারশালা গুলোতে নেই কোনো কাজের কমতি। ঈদ উপলক্ষে মুসলমানরা কুরবানির পশু জবাইয়ের জন্য ছুরি, দা, বটিসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী লোনা পানিতে সান দেওয়া এবং নতুন কিছু কেনা নিয়ে ব্যস্ত। সে লক্ষে কামাররা যেন কুরবানির ঈদ আসলে পুরো বছরের অর্থ পুষিয়ে নেওয়ার সুয়োগ মিলে তাদের। দেবীদ্বার পুরাতন বাজার কর্মশালার কর্মকার আব্দুল কুদ্দুছ জানান,দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে তিনি এ কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। তার কর্মশালায় ৪ জন কাজ করেন প্রতিজনকে ঈদ উপলক্ষে ১ হাজার টাকা করে রোজ দিতে হয়। তবে এ সময়টা ঈদের মাসেই আসে। খোকন কর্মকার জানান ঈদুল আযহা মাসে তার কর্মশালার কামারীদের দৈনিক ৭ থেকে ৮শ টাকা দিতে হয়, আর বাকী মাসগুলোতে ১৫ হাজার টাকা করে বেতন দিয়ে কামারীদের কাজ করান। এতে পুরো বছরের হিসাব যেন ঈদুল আযহাতে পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়। তবে উপজেলার একাদিক কামারীরা জানান- কুরবানির ঈদে তারা প্রতি বছর বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জাম তৈরি করেন। বর্তমান বাজারে লোহা ও কয়লার দাম বেড়েছে সেই তুলনায় উৎপাদিত পণ্যর দাম বাড়েনি। দেবীদ্বার দক্ষিণ পাড়ার তোফায়েল নামের একজন ক্রেতা জানান,পশু জবাই ও কাটার জন্য কয়েক ধরনের সরঞ্জাম কিনলাম এতে ছুরি, দা ও বটির দাম অনেক বেশি হলেও ঈদ আনন্দে তেমন বেশী মনে হয় না।