কুমিল্লা প্রতিনিধি
কুমিল্লা সিটি নির্বাচনের ভোট গ্রহনের আর মাত্র ৪ দিন বাকি। ১৩ জুন রাত ১২ টা পর্যন্ত প্রচার প্রচারণা ও গণসংযোগ করতে পারবেন প্রার্থীরা। শেষ মুহুর্তে এসে নগরবাসীর কাছে ভোট চাইতে নির্ঘুম ছুটছেন প্রার্র্থীরা। কর্মীরাও নিজেদের পছন্দের প্রার্থীর হয়ে হাঁটছেন ভোটারদের বাড়ি বাড়ি। এদিকে নির্বাচন কমিশন যে মডেল নির্বাচনের আশ্বাস কুমিল্লাবাসীকে দিয়েছেন তা বাস্তবায়নে নানান কর্মযজ্ঞ ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে।
গতকাল শুক্রবারের সকাল থেকেই সিটি নির্বাচনে মেয়র-কাউন্সিলর পদপ্রার্থীদের প্রচারণায় মুখর হয়ে উঠে কুমিল্লা নগরী।
প্রচারণায় মুখর কুমিল্লা মেয়র প্রার্থীদের মার্কা নৌকা, ঘড়ি আর ঘোড়ার লিফলেট নিয়ে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি ছুটতে থাকেন কর্মীরা। অন্যদিকে পাড়ায় পাড়ায় সকাল থেকে আওয়াজ উঠে হ্যান্ডমাইকের। অলিতেগলিতে শুনা যায়, ১৫ তারিখ সারাদিন নৌকা মার্কায় ভোট দিন, ঘড়ি মার্কা দেখিয়া ভোটটা দিবেন হাসিয়া, সামনে আসছে শুভ দিন ঘোড়া মার্কার সালাম নিন- এমন শ্লোগান।
নগরীর সকাল ২৬নম্বর ওয়ার্ডের দয়াপুর এলাকায় ভোটরদের সাথে পথসভায় যোগ দেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত। এসময় তিনি ভোটারদের কাছে তার প্রতিশ্রুতিগুলো তুলে ধরেন। বলেন, নাগরিক যে কোন সমস্যা সমাধানে সবার আগে এগিয়ে আসবেন। নগরবাসীর সুখে দুখে তিনি পাশে দাঁড়াবেন। নির্বাচিত হলে, যানজট-জলাবদ্ধতার মত জটিল এবং গুরুত্ববহ সমস্যাগুলো আগে সমাধান করবেন। সিটি কর্পোরেশনকে জনতার জন্য উন্মুক্ত রাখবেন এবং বিগত সময়ে যারা দুর্ণীতির সাথে যুক্ত ছিলেন তাদেরকে নগরবাসীর কাছে উপস্থাপন করে আইনী ব্যবস্থা নিবেন। এসময় আরফানুল রিফাতের কর্মীরা ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে লিফলেট বিতরণ করে নৌকার পক্ষে ভোট চান। এদিকে নৌকার পক্ষে ভোট চাইতে দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন নগরীর যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। ২৭টি ওয়ার্ডে দলে দলে ভাগ হয়ে চলছে দিনরাত প্রচারণা।
এদিকে, সকালে নগরীর ১৮নং ওয়ার্ডের তেলিকোনা চৌমহনী এলাকায় গণসংযোগ করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু। তিনি এসময় ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে টেবিল ঘড়ি মার্কায় ভোট চান। এসময় তিনি ভোটারদের বলেন, বিগত সময়ে নগরবাসীর পাশে ছিলাম, সামনেও থাকবো। আপনাদের যে কোন সমস্যা নিয়ে আপনারা আগের মত আমার কাছে আসতে পারবেন। আমি গত দুই মেয়াদে যেসব কাজ করতে পারিনি, আবার নির্বাচিত হলে সেগুলো শেষ করবো। কুমিল্লাবাসী আমাকে বিজয়ী করলে আমি তাদের নিরাশ করবো না।
এদিকে গতকাল সকালে থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ শাহেদুন্নবী চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, কুমিল্লায় নির্বাচন সুষ্ঠু এবং সুশৃঙ্খল রাখতে সচেষ্ট আছে কমিশন। সকলকে নির্বাচনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রাখার আহ্বান জানান তিনি।
গতকাল থেকে কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং অফিসারদের ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএম নিয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। প্রায় ২২০০ কর্মকর্তা কুমিল্লা জিলা স্কুল এবং নওয়াব ফয়জুন্নেছা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ইভিএম নিয়ে প্রশিক্ষণ নিবেন।