কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলায় ধইঞ্চা রোদে দেয়া নিয়ে বিজিবির অবসরপ্রাপ্ত এক সদস্যকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার মারুকা ইউনিয়নের নশিপুর গ্রামে ঘটনা ঘটে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শুক্রবার কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি সদস্য শামসুল হক (৭৫)। তিনি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) নায়েব সুবেদার হিসেবে অবসর গ্রহণ করেছিলেন। অবসরের পর থেকে তিনি দাউদকান্দির নশিপুর গ্রামের বাড়িতে থাকতেন। তার তিন ছেলের মধ্যে এক ছেলে বিদেশে, এক ছেলে ঢাকায় ও এক ছেলে চট্টগ্রামে থাকেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বসতবাড়ির মাঝের আড়াই শতক জায়গার দখল নিয়ে প্রতিবেশী কামাল মিয়ার সঙ্গে শামসুল হকের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে আদালতে মামলাও চলমান। বৃহস্পতিবার ওই জমিতে ধইঞ্চা রোদে দেয়া নিয়ে সংঘর্ষ বাঁধে শামসুল হকের সঙ্গে। এসময় তাকে হামলা করে কামাল মিয়া ও তার স্ত্রীসহ পরিবারের লোকেরা। নিহত শামসুল হকের ছেলে বিল্লাল হোসেনের স্ত্রী কাজী আকলিমা বলেন, আমার শ্বশুর নামাজ পড়ে বাড়ি আসার সময় দেখে আমাদের জায়গায় কামালের স্ত্রী ধইঞ্চা রোদে দিয়েছে। আমার শ্বশুর সেগুলো সরাতে বললে তারা সরাবে না বলে দেয়। এসময় তারা আমার শ্বশুরের সাথে তর্কে জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে পাশে থাকা একটা বাঁশ দিয়ে আমার শ্বশুরকে আঘাত করলে তিনি পড়ে যান। আমার শ্বশুরের বুকে ও পায়ে আঘাত করে তারা। আমরা হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তৌহিদ আল হাসান বলেন, তাকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। ওই ব্যক্তিকে আনার পর আমরা পুলিশকে জানাই। তার পায়ে আঘাতের চিহ্ন ছিল। ভেতরে ইনটার্নাল ইঞ্জুরি থাকতে পারে। মৃত্যুর কারণ আমরা বলতে পারছি না। দাউদকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাম্মেল হক বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমরা কামাল মিয়া ও তার স্ত্রী জাকিয়া আক্তারকে গ্রেফতার করেছি। এবিষয়ে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।