দেবীদ্বার কুমিল্লা প্রতিনিধি
কুমিল্লার দেবীদ্বারে ক্যারাম বোর্ড খেলা নিয়ে সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত ও ৩টি ঘর ভাংচুর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনাটি ঘটে সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত- দেবীদ্বার পৌর এলাকার বারেরা গ্রামের সুলতান মিয়ার মুদী দোকান ও কাদীম আলীর বাড়িতে। এই ঘটনায় জড়িত কিশোর গ্যাং লিডার দেবীদ্বার পৌর এলাকার বানিয়াপাড়ার ধনু মিয়ার ছেলে শরিফসহ এগার জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরো ১০ জনকে অভিযুক্ত করে একই এলাকার আবদুল করিমের ছেলে রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে সোমবার মধ্য রাতে দেবীদ্বার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। স্থানীয়রা জানান,সুলতান মিয়ার মুদী দোকানে প্রায়ই বাজি ধরে কেরাম বোর্ড খেলা হয়। সোমবার(১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় কাজী শরীফ ও শরিফুল আলম জুটি রুহুল আমিন ও রবিউল ইসলাম জুটির সাথে স্পিড ক্যান খাওয়ানোর বাজি ধরে ক্যারম খেলে। খেরায় কাজী শরীফ জুটি বিজয়ী হলে রুহুল আমিন জুটি স্পিড পরে খাওয়াবে বলে জানায়। কারন গত দু’সপ্তাহ পূর্বে রুহুল আমিন ও রবিউল ইসলাম জুটি জিতলেও ওই খেলায় বাজি ধরা খাবার খাওয়ায়নি শরীফ জুটি। এ নিয়ে দু’পক্ষের কথা কাটাকাটি,হাতাহাতি ও মারামারি হয়। রাত সাড়ে ৯টায় কাজী শরিফ ও কাজী পারভেলকে রবিউলদের বাড়িতে আটক করে রাখার সংবাদে শরীফ, হোসেন, নাছির,কাজী রয়েলের নেতৃত্বে প্রায় ৩৫/৪০ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল কাদিম আলীর বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় আউয়াল, সুলতান ও করিমের ৩টি ঘর ভাংচুর ও অন্তত ৮/১০ জন আহত হয়। সংবাদ পেয়ে দেবীদ্বার থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।
আহতদের মধ্যে রবিউলের মা নুরজাহান বেগম, তার ছোট ভাই মো. সফিউল্লাহ,তার স্ত্রী তাহমিনা বেগম,ভাতিজি ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী সাদিয়া আক্তার,চাচা ফরিদ মিয়াকে দেবীদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি ও চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়।এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মোঃ আবুল হোসেন ও শরিফের পিতা আবুল বলেন, কেরাম বোর্ড খেলায় বাজি ধরাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে। রবিউলসহ ১০/১৫ জন কাজী শরিফ ও কাজী পারভেলকে ধরে বাড়িতে নিয়ে বেধরক মারধর করে। সংবাদ পেয়ে আমাদের লোকজন কাজী পারভেল ও কাজী শরিফকে ছাড়িয়ে আনতে ওই বাড়িতে যায়। দেবীদ্বার থানার অফিসাার ইনচার্জ(ওসি) কমল কৃষ্ণ ধর জানান,অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।