ব্রাক্ষনপাড়া থেকে হুমায়ুন কবির নামে এক বাবুর্চি কাজে বেড়িয়ে নিখোঁজের ৬০ ঘন্টা পর চোখ উপড়ানো লাশ মিলল দেবীদ্বারে। রোববার(১১ ফেব্রুয়ারী) ভোরে ঘটনাটি ঘটে দেবীদ্বার উপজেলার ৬ নং ফতেহাবাদ ইউনিয়নের সাইচাপাড়া গ্রামের উত্তরপাড়া সড়কের পাশে।
স্থানীয়রা জানান,উপজেলার সাইচাপাড়া গ্রামের উত্তরপাড়া সড়কের পাশে একটি অজ্ঞাত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে তারা দেবীদ্বার থানা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধারের সময় তার পাশে পড়ে থাকা একটি মোবাইল ফোন থেকে কল লিষ্ট ধরে লাশের পরিচয় উদঘাটন করে। খবর পেয়ে স্বজনরা এসে লাশ সনাক্ত করেন।
নিহত ব্যক্তির নাম হুমায়ুন কবির (৪৪), সে ব্রাক্ষনপাড়া উপজেলার ৮ নং মালাপাড়া ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামের মৃত: নায়েব আলীর পুত্র। হুমায়ুন কবির পেশায় একজন প্রতিষ্ঠিত বাবুর্চি ছিলেন এবং তিনি ৫ পুত্র সন্তানের জনক ছিলেন।
নিহতের স্ত্রী পারভীন আক্তার জানান,বৃহস্পতিবার পাশর্বর্তী রামনগর গ্রামের একটি ওরোশ মাহফিলের অনুষ্ঠানে খিচুরী রান্নার কাজে যান। শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়িতে আসলে তাকে কল চেপে পানি তুলে নিজ হাতে গোসল করিয়ে দেই। গোসল শেষে দ্রুত আরো একটি ওরশ মাহফিলে যাওয়ার কথা বলেন। ওই অনুষ্ঠানে ২ সসমেন ক্ষিচুরী রান্না করে রাতেই চলে আসবেন বলে বেড়িয়ে যান। গভীর রাত পর্যন্ত না আসায় বার বার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলেও কথা বলতে পারিনি। শনিবার দুপুরের পর থেকে মোবাইল ফোনের রিং টোন বন্ধ পাই। রোববার সকালে স্বামীর মরদেহ খুঁজে পাই।
দেবীদ্বার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মাসুদ জানান, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করি। লাশের পাশে পড়ে থাকা মোইল ফোনের কল লিষ্ট ধরে তার স্বজনদের খবর দিলে তারা এসে লাশ সনাক্ত করেন। নিহতের ডান চোখ ক্ষত ও রক্তাক্ত ছিল। এ ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করে ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেছি। নিহত হওয়ার ঘটনা হত্যা বলে মনে হলেও তদন্ত এবং ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসার পর হত্যাকান্ডের কারন জানা যাবে।