দেবীদ্বার কুমিল্লা প্রতিনিধি
দূর্নীতি প্রতিরোধে সবার আগে নিজেকে বদলাতে হবে, সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও জবাবদিহীতার শর্ত বাস্তবায়নে কঠোরভাবে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সর্বোপরি দেশ ও জাতির কল্যাণে সামাজিক আন্দোলন জোরদার ও দূর্নীতিমুক্ত মানষিকতায় নিয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের তরুণদেরই দূর্নীতি প্রতিরোধে এগিয়ে আসতে হবে।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলা প্রশাসন ও দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি(দুপ্রক)’র উদ্যোগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সভাকক্ষে আয়োজিত আন্তর্জাতিক দূর্নীতি প্রতিরোধ বিসের আলোচনা সভায় আলোচকরা ওই বক্তব্য তুলে ধরেন।
আলোচকরা আরো বলেন, বিশ্বব্যাপী দূর্নীতি একটি মহামারি হিসেবে চিহ্নীত হলে, দূর্নীতি দমন, নিয়ন্ত্রণ এবং প্রতিরোধের লক্ষ্যে জাতিসংঘ ২০০৩ সালে ৯ ডিসেম্বরকে আন্তর্জাতিক দূর্নীতি প্রতিরোধ দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
২০০৪ সালের ৯ মে ঢাকা সেগুনবাগিচায় দূর্নীতি দমন কমিশন কার্যালয় উদ্ভোধন এবং একজন চেয়ারম্যান ও দুইজন কমিশনার নিয়ে স্বায়ত্বশাসিত (স্বতন্ত্র) প্রতিষ্ঠান হিসেবে দূর্নীতি দমনে দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু করে। সরকারী কর্মকর্তা ও দপ্তরে দূর্নীতি প্রতিরোধে স্বচ্ছতা আনয়নে ২০১৬সালের ২৭ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক)’র পক্ষ থেকে দিবসটি সরকারীভাবে পালনের অনুরোধ জানিয়ে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগে একটি পরিপত্র প্রেরন করেন। ওই পরিপত্রের আলোকে ২০১৭ সালের ১৮ জুলাই দিবসটি সরকারীভাবে পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং ২০১৭ সালের ৯ ডিসেম্বর থেকে দিবসটি সরকারীভাবে পালিত হয়ে আসছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডেজি চক্রবর্ত্তী’র সভাপতিত্বে এবং উপজেলা দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারন সম্পাদক হাজী আমির উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ হারুনুর রশীদ’র সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা রমেন কুমার সাহা, সাংবাদিক এবিএম আতিকুর রহমান বাশার, মরচিাকান্দা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আয়শা সিদ্দিকা, আরপি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ মোশাররফ হোসেন, শিক্ষার্থী জোনায়েদ খান, সামায়নূর ছাবা প্রমূখ।
সভার সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চক্রবর্ত্তী বলেন, দূর্নীতি শুধু আর্থিক বিষয়ের উপর নির্ভর নয়, সামাজিক, রাজনৈতিক এবং বিচারহীনতার সংস্কৃতির উপরও নির্ভর করে। দূর্নীতি রোধে প্রতিটা ব্যাক্তির সদিচ্ছা এবং বিচারের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
ওই আলোচনায় সভায় স্বাগতিক ব্যক্তব্য রাখেন উপজেলার দুর্নীনিতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি খন্দকার নরুজ্জামন বিপ্লব। আলোচনা সভার আগে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী, দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্যগন, বিভিন্ন স্কুল-কলেজ’র প্রধানগন, রোভার স্কাউট, বিএনসিসি, গার্লসগাইড, বেসরকারী প্রতিষ্ঠানসহ সর্বস্তরের নাগরিকদের উপস্থিতিতে এক বর্নাঢ্য র্যালী ও উপজেলা প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডেজি চক্রবর্ত্তী জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে দিবসটির সূচনা করেন।