দেবীদ্বার,কুমিল্লা প্রতিনিধি
কুমিল্লা দেবীদ্বারে শাক-সবজির আলাদা খ্যাতি রয়েছে সারাদেশে। জেলার সবজির গুণগত মান ভালো ও পুষ্টিকর হওয়ায় সারাদেশেই এখানকার সবজির চাহিদা রয়েছে। জেলার বিস্তীর্ণ কৃষি জমি জুড়ে এখন নানা সবজির সমারহ। সিম, ফুলকপিসহ হরেক রকম শীতকালীন সবজিতে হেসে উঠেছে ফসলের মাঠ। মৌসুমের শুরুতে অতিবৃষ্টি ও কুয়াশার কারণে শীতের আগাম শাকসবজির আশাব্যঞ্জক ফলন না পেলেও এখন সবধরনের সবজির উৎপাদন বাড়ছে বলে জানিয়েছেন কৃষক। দেবীদ্বার উপজেলা সবজি চাষ বেশি হয় চাপানগর, বিজলী বাজার,ছোট আলমপুর ও মোহনপুর ও ফুলতলী।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় উৎপাদন বেড়েছে ফুলকপি, বাঁধাকপি,লালশাক, লাউ, মুলা, সিম,ঢেড়শ,কুমড়া,বেগুনসহ অন্য শীতকালীন সবজির। শীতের শুরুতে পাইকারি বাজারগুলোতে তেমন সরবরাহ না থাকলেও এখন বাড়ছে সবধরনের পাইকারি সবজি বাজারে বিক্রি করতে নিয়ে আসেন কৃষকরা।
কৃষক শাহ আলম মিয়ার সাথে কথা হয়।তিনি আমাদেরকে বলেন,এ বছর ১ বিঘা জমিতে ফুলকপি চাষ করেছি। ফুলকপি উৎপাদন ভালো হয়েছে। বাজারে ফুলকপি দাম ও ভালো পাওয়া যাচ্ছে। ইতোমধ্যে জমির অর্ধেক ফুলকপি বিক্রি করে জমির খরচ তুলে ফেলেছি। যার ফলে আমার লাভ ভালোই হবে। দেবীদ্বার উপজেলার দক্ষিণ ভিংলা বাড়ি কৃষক হুমায়ূন মিয়া বলেন,এবার মৌসুমের শুরুতে কুয়াশা ও অতিবৃষ্টির কারণে শীতকালীন সবজির ফলন বেশি হয়নি। তবে ধীরে ধীরে আবহাওয়া অনূকূলে আসায় শীতকালীন সবজিতে হেসে উঠেছে আমাদের ফসলের মাঠ। সব চাষির উৎপাদন ভালো হয়েছে। বাজারে চাহিদার তুলনায় সবজির সমারোহ বেশি। যে কারণে সকল সবজির দাম কম। দাম কম হলেও এবার কৃষকরা লাভবানই হবে বলে জানান কৃষক পরিবার।