ভেঙে গেছে কালভার্ট। কার্পেটিং, ইট—খোয়া উঠে তৈরি হয়েছে খানাখন্দ। গর্ত এড়িয়ে যানবাহন চলছে এঁকেবেঁকে। কোথাও কোথাও সড়কের দু’ধার ভেঙে সংকুচিত হয়ে পড়েছে। প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা, ব্যাহত হচ্ছে কৃষিপণ্য ও মালামাল পরিবহন। ফলে এলাকাবাসীসহ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন পরিবহন চালক, যাত্রী ও পথচারীরা।
কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার দোল্লাই নোয়াবপুর ইউনিয়নের ‘নবাবপুর—কালিয়ারচর বাজার’ সড়কের কথা। সড়কটি এখন যান চলাচলের অনুপযোগী। ভাঙ্গা কালভার্টে পড়ে ইতিমধ্যে আহত হয়েছে অনেক পথচারী।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রায় দুই কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের নবাবপুর—কালিয়ারচর সড়কে ছোট – বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ইট- খোয়ার টুকরো পড়ে রয়েছে। পায়ে হেঁটে চলাচলের অযোগ্য। তারপরও লক্কড়—ঝক্কড় সড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। সড়কের নাটিঙ্গী এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে একটি কালভার্ট এর ছাদের অংশ ভেঙে গেছে। ভেঙে যাওয়া অংশটি বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ভাঙা কালভার্টের উপর দিয়ে প্রতিদিন ঝুঁকিপূর্ণ চলাচল করছে যানবাহন ও এলাকাবাসী। শুধু ভেঙে যাওয়া অংশই নয় পুরো কালভার্টি এখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এছাড়া এই সড়কে আরো দুইটি কালবার্ট রয়েছে। সেগুলোও অনেক ঝুঁকিপূর্ণ।
স্থানীয় এলাকার বাসিন্দা ফরহাদ হোসেন বলেন— ‘শিক্ষার্থীদের এ সড়ক ধরেই গল্লাই কমপ্লেক্স, নবাবপুর সরকারি কলেজসহ আশেপাশের স্কুলে আসতে হয়। হাট—বাজারে কৃষিপণ্য আনা নেয়া হয় এ পথেই। কালভার্টটির ছাদের অংশ ভেঙ্গে গেছে। ফলে ভাঙ্গা কালভার্টের উপর দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে মানুষকে। তাছাড়া এ পথে যানচলাচল করছে ঝুঁকির মধ্যেই। গর্তটি এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। যে কোন সময় গর্তে হতাহতের আশষ্কা রয়েছে। তাই দ্রুত সমস্যা সমাধান ও নতুন কালভার্ট নির্মাণে জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় প্রশাসনের নিকট দাবি জানান তিনি’।
স্থানীয় বাসিন্দা বিল্লাল হোসেন বলেন— নবাবপুর ও গল্লাই এই দুই ইউনিয়নের ৭/৮ গ্রামের মানুষ মাঠের ফসল, হাটবাজার ও উপজেলা সদরে যাওয়ার একমাত্র এই সড়কেই ভরসা। কিন্তু কালভার্টটি ভেঙে ধ্বসে পড়ায় চলাচলে অনেক অসুবিধা হয়েছে। বর্তমানে ভাঙা গর্তের কারণে সন্ধ্যা বা রাতের বেলায় পায়ে হেঁটে যেতেও মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়াও পার্শ্ববর্তী কচুয়া উপজেলার ৪/৫ গ্রামের মানুষের যাতায়াত এই সড়ক দিয়ে। দুই উপজেলার হাজারো মানুষের যাতায়াত ঝুঁকিমুক্ত করতে সড়ক ও কালবার্ট সংস্কার অতীব জরুরী।
দোল্লাই নোয়াবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান মিয়া বলেন, কালভার্টের সংস্কারের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। রাস্তার কাজ শুরু হলে কালভার্ট পুনরায় নির্মাণ করা হবে।
এ প্রসঙ্গে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপজেলা প্রকৌশলী মুহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম বলেন, কালভার্ট ভাঙার বিষয়টি আমি জেনেছি এবং সরেজমিন পরিদর্শন করেছি। দ্রুত সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হবে। রাস্তা সংস্কারের বিষয়ে তিনি বলেন, রাস্তাটির জন্য অনেক আগেই বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কেনো সংস্থার কাজ শুরু হচ্ছে না তা বলতে পারছি না। তবে কাজ যাতে দ্রুত শুরু হয় সে বিষয়ে ঊর্ধ্বতনের সাথে কথা বলে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।