কুমিল্লা প্রতিনিধি
কুমিল্লার হোমনায় শ্রেণিকক্ষ সংকটে অফিস কক্ষেই চলছে শ্রেণি কার্যক্রম। এমন চিত্র দেখা গেলো অত্র উপজেলার আসাদপুর ইউনিয়নের চারকুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। শ্রেণি কক্ষের অভাবে অফিস কক্ষের অর্ধেক অংশ জুড়ে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। অফিস কক্ষে ক্লাস হওয়ায় শিক্ষকদের দাপ্তরিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
এছাড়া প্রতিটি শ্রেণিকক্ষে আসন সংকট বিশুদ্ধ পানি খেলার মাঠসহ নানা কারণে শিক্ষার্থীদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে দুইটি ভবন রয়েছে এর মধ্যে একটি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সেখানে পাঠদান করা হয় না। অন্য ভবনটিতে কক্ষ মাত্র তিনটি। একটি কক্ষে চলে অফিস ও শ্রেণি কার্যক্রম আর অন্য দুইটিতে শ্রেণিকক্ষ।
বিদ্যালয়টি ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও ২০১৩ সালে জাতীয়করণ করা হয়। বিদ্যালয়টিতে ছোট আকারের দুটি ভবন রয়েছে। শৌচাগারের সামনে কোনো প্রাচীর না থাকায় সামান্যটুকু খেলার মাঠের সামনে শিক্ষক শিক্ষিকা ও ছাত্রছাত্রীদের টয়লেট ব্যবহার করতে বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে চারজন শিক্ষক রয়েছেন। তাদের মধ্যে দুইজন পুরুষ ও দুইজন নারী।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল করিম বলেন, বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার মানের কোনো ঘাটতি নেই। কিন্তু ভবন না থাকায় পাঠদানে ব্যাঘাত ঘটছে। আমি নিজে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত ও একাধিকবার মৌখিকভাবে জানিয়েছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা হয়নি।
এদিকে পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. যোবায়ের হোসেন বলেন, বিদ্যালয়ের শ্রেণিক্ষের সংকটের সবচেয়ে বড় সমস্যা শ্রেণি কক্ষসংকট। শ্রেণি কক্ষগুলোতে আসন সংখ্যাও সীমিত দ্রুত ভবন দরকার।
আসাদপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি মো.শিব্বির আহম্মেদ খন্দকার বলেন, বিদ্যালয়টির পাঠদান ও ফলাফল সন্তোষজনক হওয়ার পরও এখানে শিক্ষার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষ নেই অথচ মফস্বল পর্যায়ে অনেক বিদ্যালয়ে দোতলা ভবন রয়েছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয়টিতে কক্ষসংকট আছে আমরা বিদ্যালয়টিতে ভবন বরাদ্দের ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চাহিদাপত্র দিয়েছি।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমন’দে বলেন, বিদ্যালয়টি শ্রেণি কক্ষের সংকট আছে শুনেছি। প্রতিষ্ঠানটির জন্য নতুন ভবন নির্মাণ খুবই জরুরি। যাতে করে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত না হয় সেজন্য নতুন ভবন নির্মাণের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সঙ্গে কথা বলব।