কুমিল্লার হোমনায় সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গোৎসব পালনের লক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মঙ্গলবার পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রশাসন ও মণ্ডপ কমিটির পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে । প্রতিটি পূজামণ্ডপে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য বজায় রেখে পূজা অর্চনা ও নিরাপদ আনুষ্ঠানিকতা পালনের স্বার্থে সিসি ক্যামেরা স্থাপনসহ নারী ও পুরুষ দর্শনার্থীদের জন্য আলাদা আলাদা প্রবেশ এবং নির্গমণ পথ রাখতে হবে। এছাড়াও পূজার আনুষ্ঠানিকতার শুরু থেকে প্রতীমা বিসর্জন পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং নিরাপত্তা ব্যবাস্থা জোরদার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাত আটটার মধ্যে প্রতীমা বিসর্জনের সময় নির্ধারণের কথাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ বছর হোমনা উপজেলায় ৪৭টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব পালন করবে সনাতন ধর্মের অনুসারীরা। মণ্ডপগুলোতে নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক টিমের পাশাপাশি পুলিশ ও আনছার বাহিনী সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবে। অতিগুরুত্বপূর্ণ, গুরুত্বপূর্ণ ও সাধারণ ক্যাটাগরিতে ভাগ করে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী মোতায়েন করা হবে। পাশাপাশি পুলিশ ও এলিট ফোর্সের মোবাইল টিমও সার্বক্ষণিক নজরদারি করবে। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত সভায় এ তথ্য জনানো হয়।
মঙ্গলবার বেলা এগরোটায় পূজামণ্ডপ কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ক্ষেমালিকা চাকমার সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন হোমনা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মীর মুহসীন মাসুদ রানা,সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইউছুফ হাসান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মহসীন সরকার, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাছিমা আক্তার রীনা, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জয়নাল আবেদীন, পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি চন্দন লাল রায় ও সাধারণ সম্পাদক রতন পোদ্দার, খোকন চন্দ্র সাহা, রাজীব চৌধুরী, বরুন কুমার রায় প্রমুখ।