শীত মানেই পিঠা- পুলির স্বাদ। শীতের মৌসুমে হরেক রকম পিঠা বানিয়ে বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করে সংসার চালাচ্ছে পিঠা বিক্রেতারা,আর পিঠার স্বাদ নিতে ভীড় করছেন ক্রেতারা। শীতের মৌসুমে পিঠা ব্যবসা অনেক দরিদ্র মানুষের পথ খুলছে। পিঠা বিক্রির আয়ে চলছে অনেক পিঠা বিক্রেতার সংসার।
এমনই দৃশ্য নজর পড়ছে দেবীদ্বার পৌর এলাকার অলি গলি ও রাস্তার মোড় গুলিতে।দেবীদ্বার পৌর বারেরা গ্রামের জহিরুল ইসলাম পেশায় দিন মুজুর অসুস্থ হয়ে ঘরে বসে থাকায় পরিবারে ছোট ৩ ছেলে ও ১ মেয়ে নিয়ে কস্টে দিন যাপন করছে তার পরিবার, তাই তার স্ত্রী মালেকা বেগম দেবীদ্বার সেন্টাল হাসপাতালের সামনে অল্প টাকার পুজি লাগিয়ে পিঠার দোকান দিয়ে প্রতি চিতল পিঠা ও বাপা পিঠা ১৫ টাকা ধরে বিক্রি করে দৈনিক আয় করছে প্রায় ৫ শ থেকে হাজার টাকা, এর আয় দিয়ে চলছে মালেকার সংসার।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গেইটে ভাপা পিঠা বিক্রেতা আব্দুল হাকিম জানান দীর্ঘ আট বছর যাবৎ এখানে পিঠা বিক্রি করেন, প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ হাজার টাকার পিঠা বিক্রি করে দিন শেষে লাভ থাকে প্রায় ৭ থেকে ৮ শ টাকা, এতে তার সংসার ভালো চলে, নিউমার্কেট জনতা ব্যংকের সামনে ভোষনা গ্রামের পিঠা বিক্রেতা নজরুল বলেন শীতের মৌসুমে পিঠা বিক্রি করা তার একটি সখ ব্যবসা। এতে শীতকালীন সময়টা আমার সংসারের পরিবারকে নিয়ে এ আয় দিয়ে স্বাভাবিক ভাবে দিন যাপন করতে পারি। সুজাত আলী সরকারী কলেজ হোস্টেলের সামনে ছোটআলমপুর গ্রামের পিঠা বিক্রেতা মো. কবির জানান দৈনিক বিকাল ৩ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত পিঠা বিক্রি করি ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা, এতে তার লাভ থাকে প্রায় হাজারের কাছা- কাছি। মুড়ি বাজারের সামনে থাকা পিঠা বিক্রেতা মো. কামাল জানান কয়েক হাজার টাকা দিয়ে পিঠা বানানোর সরান্জম কিনে দোকান দেওয়া হয়, অল্প পুঁজি ও কম পরিশ্রম ব্যয়ে পরিবার নিয়ে ভালোই সংসার চলছে। এদিকে মুরানগর উপজেলার নারায়নপুর গ্রামের শিরিনা আক্তার পিঠা কিনতে এসে জানান পিঠা খাওয়া সকল মানুষের একটা বিশেষ সখ, ফুটপাতে পিঠা বিক্রেতার দোকান দেখলে মনের রুচিকে মানানো যায় না তাই পিঠা কিনতে আসলাম। দেবীদ্বার পদ্মকোট গ্রামের এক পিঠা ক্রেতা সাইফুল ইসলাম জানান শীতকালের পিঠা খাওয়া মানুষের একটা বিশেষ রুচি বাড়িতে পিঠা তৈরির উপকরন মিলাতে না পারলে সখের বসত পিঠা দোকান থেকেই কিনে খাইতে পছন্দ করি।