কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) উপনির্বাচনের তারিখ ঘোষিত হয়েছে। প্রতীক বরাদ্দেরও তারিখও ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু নগরীর কোথাও এখন পর্যন্ত নির্বাচনী আমেজ দেখা যায়নি। এমনকি প্রার্থীদের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে তেমন কোনো তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না।
এবারের নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হয়েছেন ৪ জন। আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। এরপর প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচার-প্রচারণা শুরু করতে পারবেন। কিন্তু নির্বাচনকে ঘিরে প্রার্থীদের কোনো গণসংযোগ কিংবা উঠান বৈঠক দেখা যাচ্ছে না। এমনকি কুসিক নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের মধ্যেও খুব একটা আলোচনা নেই।
গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেয়র আরফানুল হক রিফাতের মৃত্যুর পর ১৮ ডিসেম্বর কুমিল্লা মহানগরীর মেয়র পদটি শূন্য ঘোষণা করে উপ-নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করে নির্বাচন কমিশন। ঘোষিত তপশিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল গত ১৩ ফেব্রুয়ারি। যাচাই-বাছাই হয় ১৫ ফেব্রুয়ারি। আপিল নিষ্পত্তি ১৯ ও ২০ ফেব্রুয়ারি। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ২২ ফেব্রুয়ারি। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ ফেব্রুয়ারি এবং ভোটগ্রহণ ৯ মার্চ।
জানতে চাইলে কয়েকজন ভোটার জানান, বিগত দিনে দেখেছি ভোটের তারিখ ঘোষণার পর থেকে নগরীর বাসিন্দাদের মধ্যে নির্বাচনী আমেজ শুরু হয়। মুদিদোকান থেকে শুরু করে চায়ের আড্ডা, বিপণিবিতান থেকে সরকারি-বেসরকারি অফিসÑ সর্বত্র মানুষ সিটি নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করে। জয়-পরাজয়ের হিসাবও কষতে শুরু করেন ভোটাররা। এবার তেমন কিছু এখনো দেখা যায়নি।
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী তাহসীন বাহার সূচনা বলেন, নেতাকর্মীরা অনেক আগে থেকেই আমাদের পক্ষে মাঠে আছেন। নগরজুড়ে পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন না থাকলেও নেতাকর্মীরা ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন। আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমার পক্ষে কাজ করছেন। আমার বাবার নেতৃত্বে কুমিল্লার উন্নয়ন ও আমার নেতৃত্বে কুমিল্লাবাসীর উন্নয়নে কী কী করা হবে, সেসব পরিকল্পনার কথা তুলে ধরছেন তারা।
এদিকে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর থেকে নীরবে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। জানতে চাইলে তিনি বলেন, নগরের বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ভোটারদের কাছে দোয়া চাইছেন তিনি। একই সঙ্গে তার কর্মীরাও ভোটারদের সঙ্গে মতবিনিময় করছেন। গত শুক্রবার কুমিল্লা নগরের বিষণপুর জামে মসজিদে জুমার নামাজ পড়েন সাবেক এ মেয়র। নামাজ শেষে তিনি মুসল্লিদের কাছে দোয়া ও সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন। এ ছাড়া ওই এলাকার উন্নয়নে কী কী করা যায় তা নিয়ে মুসল্লিদের সঙ্গে কথা বলেন। এই দুজন ছাড়া অন্য মেয়র প্রার্থীদেরও কোনো ধরনের প্রচার নেই বললেই চলে। তবে সাধারণ জনগণের ধারণা, প্রতীক বরাদ্দের পরে সব প্রার্থী ও তাদের কর্মী-সমর্থকরা পুরোদমে মাঠে নামবেন।