1. bdweb24@gmail.com : admin :
  2. cpbadmin@cumillarghotona.com : :
  3. him@bdsoftinc.info : Staff Reporter : Staff Reporter
বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১১:১১ অপরাহ্ন

কুমিল্লা হাসপাতালে চুরির ৭ মাস পর সেই নবজাতক উদ্ধার,গ্রেফতার ২

রিপোর্টার
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ৫ মার্চ, ২০২৪
  • ৩১০ বার দেখা হয়েছে
  • নেকবর হোসেন কুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লা থেকে চুরির ৭ মাস পর সেই নবজাতককে পুলিশ বুর‍্যো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কুমিল্লার সদস্যদের অভিযানে সোমবার (৪ মার্চ) রাজধানী থেকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ ওই নবজাতকদের বাসার ভাড়াটিয়াসহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতার আসামিরা হলেন, মুরাদনগর উপজেলার নিয়ামত পুর এলাকার জাকির হোসেনের স্ত্রী পারভীন (৩০) ও জেসমিন জেলার বরুড়া উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের আব্দুল মালেকের মেয়ে।

জানা গেছে, গত বছরের ১৩ এপ্রিল কুমিল্লা জেনারেল (সদর) হাসপাতালের টিকিট কাউন্টারের সামনে হতে ০৪ দিনের ওই নবজাতক চুরি হয়ে যায়। এ ঘটনায় নবজাতকের বাবা মো. জসিম উদ্দীন (৪৫) কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পিবিআই মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পায়।

গ্রেফতার আসামিদের বরাতে পিআইবি জানায়, পারভীনের সাথে জেসমিন কথোপকথনে জানায় তার একটি নবজাতক ছেলে থাকলে কতইনা ভালো হতো। এসময় পারভীনও তার কথা বুঝতে পেরে তাকে বলে যদি ৫০ হাজার টাকা দেয় সে একটি নবজাতক এনে দিতে পারবে। পরে তারা পরিকল্পনা করে নবজাতককে এখানে এনে দিলে জেসমিন তাকে নিয়ে পালাবে। নবজাতকের নানু নুরজাহান বেগম (৬০) তাকে নিয়ে বারান্দায় হাটাহাটি করার সময় তাদের বাসার ভাড়াটিয়া পারভীন নবজাতকের শারীরিক সমস্যার কথা বলে বড় ডাক্তার দেখানোর জন্য বলে। নবজাতকের মাকে কিছু না জানিয়ে পারভীম তার নবজাতকসহ নানুকে নিয়ে টিকেট কাউন্টারে যায়। জেসমিন নুরজাহান বেগমকে বলেন তিনি বৃদ্ধ মহিলা এবং তাহার কষ্ট হচ্ছে আমার কোলে দেন। বাচ্চা সাথে থাকলে তাড়াতাড়ি টিকেট দিবে। তখন নুরজাহান বেগম সরল বিশ্বাসে নবজাতককে ওই মহিলার কাছে তুলে দিয়ে একপাশে দাঁড়ায়। এই সুযোগে জেসমিন নবজাতককে চুরি করে পালিয়ে যায়। কিছুক্ষন পরে পারভীনকে টিকেট কাউন্টারের কাছে পেয়ে ওই মহিলার কথা জিজ্ঞাসা করিলে সে তাকে দেখে নাই বলেয়া জনায়। চারদিকে খোঁজাখুজি করে কোথাও না পেয়ে পুলিশকে অবহিত করে। এঘটনার ৭ মাস পর পিবিআই তাকে উদ্ধার করে।

পিবিআই কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপার, মো. মিজানুর রহমান বলেন, ওই নবজাতককে বাচ্চাসহ ঢাকা মহাখালী বাসস্ট্যান্ড থেকে আসামিসহ গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর জেসমিনকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের সে স্বীকার করে তার সহযোগী পারভীনের নিকট হইতে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে (৩০ হাজার টাকা পরিশোধ করে) ছেলে বাচ্চা মনে করে ক্রয় করে। উক্ত পারভীন নবজাতকের মায়ের অজান্তে ডাক্তার দেখানোর কথা বলে নবজাতকের নানীসহ জরুরী বিভাগে নিয়া আসে। এবং কৌশলে জেসমিনের নিকট নবজাতককে বুঝিয়ে দিয়ে টাকা আদায় করে। এবিষয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা শেষে আদালতে প্রেরণ প্রক্রিয়াধীন।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০