প্রথম ধাপের বুধবার (৮ মে) কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নির্বাচনের এক দিন আগে এ উপজেলায় সকল পদের নির্বাচন স্থগিত করেছে। সোমবার (৬ মে) রাত ১০টায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের নির্বাচন পরিচালক-২ এর উপসচিব মো. আতিয়ার রহমানের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাচন স্থগিত করা হয়। রাত ১১টার দিকে কুমিল্লা জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মুনীর হোসাইন খান এ স্থগিত আদেশের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানা গেছে, নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সালেহা আক্তার পলি নামের এক প্রার্থী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। তিনি উপজেলার রায়কোট ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত নারী সদস্য ছিলেন। তবে সেই পদ থেকে পদত্যাগ না করে মনোনয়ন জমা দেন তিনি। যাচাই-বাছাই শেষে তার প্রার্থিতা বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। পরে প্রার্থিতা ফিরে পেতে উচ্চ আদালতে আপিল করেন তিনি।
সোমবার (৬ মে) দুপুরে উচ্চ আদালত তার প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করেন। এ দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যালট পেপার ছাপাতে না পারার কারণে এ নির্বাচন পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হয়। মো. আতিয়ার রহমান সাক্ষরিত স্থগিতের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নাঙ্গলকোট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ছালেহা বেগম হাইকোর্ট বিভাগে মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণার জন্য রিট পিটিশন (নং ৪৭৩৪/২০২৪) করেন। ২৫ এপ্রিল হাইকোর্ট বিভাগ মনোনয়নপত্রটি বৈধ প্রার্থীর তালিকায় অন্তর্ভুক্তি এবং প্রতীক বরাদ্দের জন্য আদেশ প্রদান করেন। হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন আপিল বিভাগে সিএমপি নং ৩৬৫/২০২৪ ও সিপিএলএ নং ১৪৮৬/২০২৪ দায়ের করেন। পরে ৬ মে আদেশে ‘No Order’ প্রদান করা হয়। এমতাবস্থায়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ৮ মে অনুষ্ঠেয় নাঙ্গলকোট উপজেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচনের সকল পদের নির্বাচন স্থগিত রাখার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন। সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুনীর হোসাইন খান বলেন, নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাচন স্থগিত হওয়ার চিঠি রাতে মেইলে পাওয়া গেছে। পরে রাত ১১টার দিকে নির্বাচন স্থগিত হওয়ার বিষয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বুধবার (৮ মে) ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট, লাকসাম, মনোহরগঞ্জ ও মেঘনা উপজেলায় ভোট গ্রহণের কথা রয়েছে। নাঙ্গলকোট উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত করা হলেও বাকিগুলো স্বাভাবিকভাবেই চলবে।