কুমিল্লায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার মামলায় আসামি ৬ আইনজীবীর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। পরে তাঁদের মধ্যে চারজনকে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার সময় আদালত প্রাঙ্গণে ডিম ছুড়ে মারা হয়।
আজ সোমবার মামলার আসামি ২৪ আইনজীবী জামিন শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে চারজনের আবেদন নামঞ্জুর করা হয়। সেই সঙ্গে অনুপস্থিত থাকা দুজনকে কারাগারে পাঠাতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মাহবুবুর রহমান শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ পাওয়া আসামিরা হলেন সাবেক সরকারি কৌঁসুলি ও কুমিল্লা বারের সাবেক সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান লিটন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া, আইনজীবী জিয়াউল আহসান সোহাগ, সাইফুল ইসলাম, জাকির হোসেন ও এ এম এম মইন। তাঁদের মধ্যে জিয়াউল ও মইন হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে নিম্ন আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।
৩ আগস্ট পুলিশ লাইনসে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় শিক্ষার্থী ইনজামুল হক এই মামলা করেন। এতে ২৬১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১৫০-২০০ জনকে আসামি করা হয়। তাঁদের মধ্যে ২৬ জন আইনজীবী।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) কাইমুল হক রিংকু জানান, মামলায় ছয় আইনজীবীকে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বাকিদের পুলিশের অভিযোগপত্র জমা না হওয়া পর্যন্ত জামিন দিয়ে তদন্তকাজে সহযোগিতা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে আইনজীবীদের আদালতে হাজিরা হওয়া নিয়ে উত্তেজনা দেখা দেয়। আদালত প্রাঙ্গণে সেনাবাহিনীসহ পুলিশের অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়। আদালতের রায় শেষে কারাগারে নেওয়ার সময় চার আইনজীবীকে লক্ষ্য করে ডিম ছুড়ে মারেন কয়েকজন।