(কুমিল্লা)প্রতিনিধি:
বয়স আমার তেরো সপ্তম শ্রেণীতে পড়ি
করোনার অভাবে পেটের দায়ে পিতার কষ্টকে লাগব করার জন্য অটোরিকশা চালাই।
কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার কামেল্লা গ্রামের ফুল মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ রিফাত( ১৩) উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ বদিউলআলম উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেনীর অধ্যায়নরত ছাত্র।
বুধবার ঈদের দিন পড়ন্ত বিকেল বেলায় কুমিল্লা টু সিলেট আন্ঝলিক মহাসড়কে দেবীদ্বার থেকে কোম্পানিগঞ্জ চলার পথে রিফাত জানান আমি ছোটো বলে আমার রিক্সায় ঈদের দিনেও কেউ যাত্রী হয়ে উঠতে চায় না।বাবাও পেশায় রিক্সা চালক। আমরা দু ভাই এক বোন।
ছোট ভাই রবিউল হাসান (৬) হাফিজীয়া মাদ্রাসায় পড়ুয়া ছাত্র ও বোন শ্রাবন্তী(৮) প্রাইমারীতে পড়ে। বাবার বড় ছেলে আমি হওয়ায় সংসারের কস্ট দূর করতে এরিক্সা চালাই।
রিফাতের বাবা ফুল মিয়া জানান- আমার স্ত্রী হালিমা বেগম গৃহিনী, বয়স্ক মাকে পালন করতে হচ্ছে, সে মানসিক সমস্যায় ভূগছে। পরিবারে আমরা ছয় সদস্য এক মাত্র উপার্জনকারী আমি ফুল মিয়া।
বাড়ির ভিটার জায়গাই এক মাত্র সম্বল গ্রামে কোনো কাজ না পেলে অনাহারে জীবন যাপন করতে হয়, কোম্পানিগঞ্জ নগর পাড় এলাকায় বাড়ি ভাড়া করে থাকি। সংসারের অভাবের তাড়নায় কিস্তিতে টাকা উঠিয়ে অটোরিকশা ক্রয় করি, প্রতি সপ্তাহে কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে হয়। এছাড়াও ঘর ভাড়া,ছেলে-মেয়ের লিখা-পড়াসহ সংসারের সকল খরচ চালিয়ে যাওয়ার কস্টের পথ চলা দেখে স্নেহের রিফাত(১৩) অটোরিকশা চালাতে শুরু করে।