কুমিল্লা: প্রতিনিধি
কুমিল্লা সিটি নির্বাচনের আর মাত্র ২ দিন বাকি। আগামী পরশু বুধবার অনুষ্ঠিত হবে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) ভোট। নির্বাচনের তারিখ আসার আগে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মনিরুল ইসলাম সাক্কুর বিরুদ্ধে টাকা ছড়ানোর অভিযোগ করেছেন নৌকার প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত।
নির্বাচনী প্রচারণার শেষ দিন সোমবার (১৩ জুন) সকাল ১০টার দিকে শহরের রাণী দিঘিরপাড় এলাকায় নির্বাচনী অফিসে সাক্কুর বিরুদ্ধে ভোট কেনার অভিযোগ তোলেন নৌকার প্রার্থী।
২০১২ সালে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর দুটি নির্বাচনে জয় পেয়েছেন সাক্কু। আগামী ১৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে কুমিল্লা সিটির তৃতীয় নির্বাচন।
ভোটে ব্যয়ের জন্য প্রার্থীদের সীমা বেঁধে দেওয়া হয় ইসির পক্ষ থেকে। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের (নির্বাচন পরিচালনা-২ অধিশাখা) উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত একটি পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়, একজন মেয়র প্রার্থী তার ব্যক্তিগত খরচ বাবদ সর্বোচ্চ ৭৫ হাজার টাকা এবং নির্বাচনী কাজে সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টাকা খরচ করতে পারবেন। কাউন্সিলর প্রার্থীরা ব্যক্তিগত খাতে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা এবং নির্বাচনী কাজে সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা খরচ করতে পারবেন।’
নির্বাচন কমিশন ব্যয়ের সীমা নির্ধারণ করে দিলেও মেয়র প্রার্থী সাক্কু তা মানছেন না অভিযোগ করেছেন নৌকার প্রার্থী। রিফাত অভিযোগ করেছেন, নির্বাচনে সাক্কু টাকা ছড়াচ্ছেন। তার দাবি অস্বীকার করে প্রমাণ উপস্থাপন করতে বলেছেন সাক্কু। তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন।
রিফাতের অভিযোগের জবাবে টেবিল ঘড়ি নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা সাক্কু বলেন,আমি প্রমাণ ছাড়া কথা বিশ্বাস করি না। টাকা দিলে সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা আছে তারা তো দেখবে। আমি মানুষকে অন্য সময় টাকা দিয়ে সহায়তা করি। কিন্তু কখনোই ভোট কেনার জন্য টাকা দেই না’।
এদিকে নির্বাচনের শেষ দিকে এসে প্রার্থী, কর্মী-সমর্থক আর ভোটারদের মধ্যেই টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। কে হবে কুমিল্লা সিটির পরবর্তী নগরপিতা তা জানা যাবে আগামী বুধবার।