কুমিল্লা প্রতিনিধি
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) নির্বাচনে নিহত কাউন্সিলর সোহেলের স্ত্রী শাহনাজ সোহেল রুনা ও ছোট ভাই সৈয়দ রুমন বিজয়ী হতে পারেননি। গেল বছরের ২২ নভেম্বর বিকেলে নগরীর পাথুরিয়াপাড়া এলাকায় কাউন্সিলরের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে অবস্থানকালে কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল ও তাঁর সহযোগী হরিপদ সাহাকে গুলি করে হত্যা করে মুখোশ পরিহিত সন্ত্রাসীরা। নিহত সোহেল সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়রও ছিলেন। প্রকাশ্যে তাঁকে হত্যার বিষয়টি তখন দেশব্যাপী আলোচিত হয়েছিল।
১৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে এবার কাউন্সিলর পদে নিহত সোহেলের স্ত্রী রুনা ঘুড়ি প্রতীক নিয়ে ও ছোট ভাই সৈয়দ রুমন টিফিন বক্স নিয়ে নির্বাচন করেছিলেন। তাঁরা দুজনেই কাউন্সিলর সোহেলের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। একই পরিবারের দেবর-ভাবির নির্বাচনটি পুরো নগরীতে আলোচিত ছিলো। এ ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর সোহেলের স্ত্রীকে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী ঘোষণাও করা হয়েছিল।
১৫ জুন সিটি নির্বাচনে এ ওয়ার্ড থেকে এ দুজন ছাড়াও আরও চারজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। বুধবার কুসিক নির্বাচনের ফলাফলে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন ট্রাক্টর প্রতীকের হানিফ মাহমুদ। তিনি পেয়েছেন ২ হাজার ৩০৬ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নিহত কাউন্সিলর সোহেলের স্ত্রী শাহনাজ সোহেল রুনা পেয়েছেন ২ হাজার ২০৮ ভোট।
নিহত সোহেলের ভাই সৈয়দ রুমন বলেন, ‘আমার ভাবিকে বলেছিলাম সংরক্ষিত আসন থেকে নির্বাচন করতে, আমি আমি সাধারণ ওয়ার্ড থেকে নির্বাচন করি। একটি পক্ষ ভাবিকে ভুল বুঝিয়ে নির্বাচনে দাঁড় করিয়েছিল। ফলে কাউন্সিলর সোহেলের জনপ্রিয়তা থাকা সত্ত্বেও একই পরিবারের দুজন হওয়ায় কেউই জয়ী হতে পারিনি।