এমএ কাশেম ভূঁইয়া প্রতিনিধি হোমনা
জনবল কাঠামো, নিয়োগবিধি বাস্তবায়নসহ ৫ দফা দাবি আদায়ের লক্ষে অর্ধদিবস কর্মবিরতির প্রথম ও দ্বিতীয় দিনের মত কর্মসূচী পালন করেছে কুমিল্লার হোমনা ও তিতাস উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গতকাল সোমবার থেকে এ কর্মবিরতি পালন করছেন তারা। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আসা সেবা প্রত্যাশিরা।
জানা যায়, প্রত্যেক জেলা ও উপজেলায় ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অর্ধদিবস কর্মবিরতির কর্মসূচি পালন করার ঘোষনা দেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ।
এ বিষয়ে হোমনা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাহিদ আহমেদ জাকির জানান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঠিক পদমর্যাদা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন-২০১২’র আলোকে প্রস্তাবিত জনবল কাঠামো ও নিয়োগবিধি বাস্তবায়ন, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা (ডিআরআরও) পদের আপগ্রেডেশন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) পদ আপগ্রেডেশন, সচিবালয়ের ন্যায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের কর্মচারীদের পদনাম পরিবর্তন এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সব শূন্যপদ/পদোন্নতি/চলতি দায়িত্ব নিয়োগের মাধ্যমে পূরণের এ পাঁচটি যৌক্তিক দাবি আদায়ের লক্ষে গত কয়েক বছর ধরেই আমরা সুশৃঙ্খল আন্দোলন করে আসছি। তিনি আরো বলেন, আলোচনা সভা, স্মারকলিপি প্রদান, সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধন ইত্যাদিসহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করায় কর্তৃপক্ষ মৌখিক ঐক্যমত প্রকাশ করলেও বাস্তবায়নের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না।
তাই অধিদপ্তরের সংযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভ ও ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে।
এদিকে সারা দেশের ন্যায় তিতাসেও জনবল কাঠামো ও নিয়োগবিধি বাস্তবায়নসহ ৫ দফা দাবিতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে (পিআইও) অর্ধদিবস কর্মবিরতী সোমবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এবং মঙ্গলবার ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত পালন করেন তারা।
তিতাস উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আহসান উল্লাহ বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন ২০১২ কার্যকর হয়েছে। অথচ এর আওতায় কর্মরত জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা (ডিআরআরও) এবং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাদের (পিআইও) জনবলকাঠামো ও নিয়োগবিধি এখনো অনুমোদন হয়নি। পদ দুটির উন্নীতকরণ প্রস্তাবও পড়ে আছে মন্ত্রণালয়ে। ফলে ডিআরআরও-পিআইওরা কাঙ্ক্ষিত আর্থিক সুবিধা পাচ্ছেন না। আমরা দাবি আদায়ে কর্মবিরতি পালন করে যাবো।