নেকবর হোসেন: কুমিল্লা প্রতিনিধি
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে যৌতুক না দেয়ায় ও পারিবারিক কলহের কারণে বিয়ের ৩ মাসের মধ্যেই ফাতেমাতুজ জোহরা রোকসানা (১৮) নামে এক নববধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
শুক্রবার (৩০ সেপ্টেস্বর) রাতে পৌর এলাকার শ্রীপুর খাঁ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর বাবা বাদী হয়ে স্বামী সাইফুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে ৭ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ রাতেই স্বামী সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার করে। অন্য আসামীরা পলাতক রয়েছে বলে জানা গেছে। নিহত গৃহবধূ উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের কাইচ্ছুটি গ্রামের আবুল বশরের মেয়ে ও পৌর এলাকার শ্রীপুর গ্রামের মৃত সৈয়দ আহমেদের ছেলে সাইফুল ইসলামের স্ত্রী। বিষয়টি শনিবার সকালে নিশ্চিত করেন চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শুভ রঞ্জন চাকমা।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ জুন পারিবারিকভাবে সাইফুলের সঙ্গে রোকসানার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই সাইফুল ও তার পরিবারের লোকজন যৌতুকের দাবিতে নববধূ রোকসানাকে বিভিন্ন সময়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিলো। ঘটনার দিন বিকেলে সাইফুল তার শ্বশুরের মোবাইল কল করে রোকসানার অসুস্থতার কথা বলেন এবং তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে বলে জানান। সংবাদ শুনে হাসপাতালে ছুটে গিয়ে রোকসানার বাবার বাড়ীর লোকজন তার মরদেহ দেখতে পান। পরে পুলিশ হাসপাতাল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে এবং সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে প্রেরণ করে।
এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শুভ রঞ্জন চাকমা বলেন, সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহত গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় গৃহবধূর বাবা বাদী হয়ে স্বামী সাইফুলসহ সাতজনের বিরুদ্ধে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর রাতেই রোকসানার স্বামী সাইফুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে’।