দেবীদ্বার কুমিল্লা প্রতিনিধি
মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ১৮০টি কৃষক পরিবারের মধ্যে সবজি-ফল বাগান প্রদর্শনীর তৈরীর বিভিন্ন ফলের চারা,সবজির বীজ,সার ও উৎপাদনের বিভিন্ন উপকরণ প্রদান করেছে কৃষি অধিদপ্তর।
বুধবার (১৬ নভেম্বর ২০২২) দুপুরে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর’র উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ মাঠে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ওই সামগ্রী বিতরণ করা হয়। একটি পৌরসভা ও ১৫ ইউনিয়নের ১০০ জন করে ১হাজার ৬শত কৃষি পরিবারকে ওই সবজি-ফল বাগান প্রদর্শনী করে দিবে কৃষি বিভাগ।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বুধবার প্রথম ধাপে ১৮০ জন কৃষক পরিবারের মধ্যে বারিয়া বি-৪ ও আমরপলি আমের চারা, লেবু, বাতাবি লেবু, মাল্টা, পেয়ারাসহ ৬ জাতের ৭টি ফলের চারা এবং মিষ্টি কুমড়া, চাল কুমড়া, চিচিংগা, কদু (লাউ), করলা, ডাটা, পুইশাক, বেগুন, টমেটো, মরিচ, পাতা সিম, লতা সিম, লাল শাক, ধুন্দুল, ঢেরস, কইডা, পালন শাক, ধনিয়া পাতা, শষা, কাকরলসহ ২১ প্রকার সবজি বীজ, রাসায়নিক সার, ভার্মি কম্পোষ্ট,জিপসামসহ ৩ প্রকার সার ও বাগানের নিরাপত্তা জাল, বীজ রাখার কৌটা, পানি ঢালার ঝাঞ্জুর,বালতিসহ অন্যান্য উপকরণ বিতরণ করা হয়। এর আগে ওই কৃষকদের চাষাবাদের নিয়ম কানুন জানাতে অভিজ্ঞতা প্রদানে দু’দিনের কর্মশালার আয়োজন করা হয়। পর্যায় ক্রমে বাকীদের মাঝে একই নিয়মে ফলের চারা, সবজি বীজ,সার ও উৎপাদনের বিভিন্ন উপকরণ প্রদান করা হবে বলেও কৃষিবিভাগ সূত্রে জানা যায়।
ফল বাগান প্রদর্শনী তৈরীতে কৃষককে ৬ প্রকার ফলের চারা, ২১ প্রকার শবজির বীজ, সার ও উৎপাদনের বিভিন্ন উপকরণ প্রদান করা হয়েছে। এসময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুর রউফসহ মাঠ পর্যায়ের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুর রউফ জানান, মুজিব শতবর্ষ উদযাপনের বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে প্রত্যেকটি ইউনিয়নে ১০০টি করে উচ্চফলনশীল ও গুনগত মানের সবজি ও ফল বাগান প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করার লক্ষ্যে এ আয়োজন করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন,জীব-বৈচিত্র ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বৃক্ষ রোপনের বিকল্প নেই। তাই মুজিব শতবর্ষে প্রতিটি ইউনিয়নে ১০০ কৃষক পরিবারকে স্বাবলম্বী করতে সরকারের কৃষি মন্ত্রনালয় সবজি ও ফল বাগান প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করেছে। যার মাধ্যমে ফলদবৃক্ষ ও সবজি আবাদে প্রতিটি বাগান ও বাড়ি হবে এক একটি পুষ্টিকর কারখানা এবং অক্সিজেন ফ্যাক্টরি। এসব বাগান থেকে স্বাস্থ্য সু-রক্ষায় বিশুদ্ধ ও প্রাকৃতিক অক্সিজেন প্রাপ্তি,পুষ্টিকর ফল এবং জ্বালানী চাহিদা পুরনে সহায়ক হবে। কৃষক পরিবারগুলো হবে স্বাবলম্বী।