কুমিল্লা প্রতিনিধি
কুমিল্লার দেবীদ্বারে জিপি নামে অতিরিক্তি চাঁদা আদায়, জিপির জন্য চালকদের মারধরের প্রতিবাদে এবং হাই কোর্টের নির্দেশ অমান্য করে মহাসড়কে সিএনজি স্ট্যান্ড ইজারাদানকারী মূল হোতা পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ফখরুল ইসলামের অপসারনের দাবীতে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেছে সিএনজি-ইজিবাইক চালকরা।
রোববার সকাল ১০টায় কয়েকশত সিএনজি ও অটোরিক্সা নিয়ে চালকরা উপজেলা পরিষদ চত্বরে সমবেত হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে বিভিন্ন দাবী-দাওয়া সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করতে যায়। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অনুপস্থিতিতে অফিস সহকারীর নিকট স্মারকলিপি প্রদান করে।
এরপর জিপির নামে অতিরিক্তি চাঁদা আদায়, জিপির জন্য চালকদের মারধোরের প্রতিবাদে এবং হাই কোর্টের নির্দেশ অমান্য করে মহাসড়কে সিএনজি স্ট্যান্ড ইজারাদানকারী মূলহোতা পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ফখরুল ইসলামের অপসারনের দাবীতে প্রায় এক ঘন্টাব্যাপী কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়ক’ অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এসময় স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও কৃষকলীগের কিছু নেতা-কর্মী এসে প্রথমে হাতা- হাতি, ধাক্কা-ধাক্কি একপর্যায়ে অবরোধ পন্ড হয়ে যায়। পরে ইজারাদারদের পক্ষে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারন সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বিক্ষোভকারীদের সমঝোতার আশ্বাসে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয়।
বিক্ষোভ চলা কালে বক্তব্য রাখেন, সিএনজি চালক মো. আ. রশিদ, মো. আবুল কালাম, আলী হোসেন্ প্রমূখ।
পৌর-সচিব মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, আমাকে অভিযুক্ত করবে কেন ? পৌর প্রশাসকের স্বাক্ষরে ইজারা দেয়া হয়েছে। হাইওয়ে সড়কে পূর্ব নিয়মেই ইজারা দেয়া হয়েছে। হাইওয়ে সড়কের পান্নারপুল-বাখরাবাদ স্ট্যান্ড তালিকায় থাকলেও ইজারা দেয়া হয়নি। ওখানে টোলের নামে চাঁদা তোলার অভিযোগ পেয়ে বাজার পরিদর্শক আলমগীর হোসেনকে তা বন্ধ করার জন্য দায়িত্ব দিয়েছি।
দেবীদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ কমলকৃষ্ণ ধর বলেন, ইজারাদার নিয়ম বহির্ভূতভাবে টোল বা চাঁদা আদায় করলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ওই ইজারা বাতিল করতে পারেন। নতুন করে ইজারা প্রদানের বিষয় আমাকে অবহীত করা হয়নি। ইজারা প্রদান করলে চালক, ইজারাদার, এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তি ও প্রশাসনের লোকজনের মতামতের ভিত্তিতে করা প্রয়োজন ছিল। টোল আদায়ের পরিমান নিয়ে চালকদের সাথে মতবিনিময় এবং সিদ্ধান্তগুলো মাইকিং করে জানিয়ে দিলে চালকরা বিক্ষোভ- প্রতিবাদ, সড়ক অবরোধ করার সুযোগ পেতনা। ইজারাদারও টোলের নামে অতিরিক্ত চাঁদা আদায়ের সুযোগ পেতনা। পৌর সভা কর্মকর্তাদের খামখেয়ালীর দায়ভার বর্তাচ্ছে আইনশৃংখলা বাহিনীর উপর।
দেবীদ্বার পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডেজী চক্রবর্ত্তী কুমিল্লায় থাকায় এ বিষয়ে কথা বলা সম্ভব হয়নি।